অস্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়, বিপাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ
করোনা মহামারির দুই বছর পরও অর্থনীতির চাকা সচল হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। অনেকটাই বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এতে পিছিয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। খণ্ডকালীন চাকরি করে টিউশন ফি জোগাড়ের স্বপ্নও ফিকে হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের।
সম্পদের পরিমাণ বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর একটি। তবে গত চার বছর ধরে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটি তাদের নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দের জীবন বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে প্রায় সব সেবা ও পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটননির্ভর। গত দুই বছরে রফতানি আয় বাড়লেও, তা গড়ে ২০১৯ সালের চেয়ে কম। আর ২০২৪ সালে প্রায় ৮০ লাখ পর্যটক অস্ট্রেলিয়ায় এলেও সে সংখ্যা পাঁচ বছর আগের চেয়ে কম।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে, যা করোনা মহামারির আগের চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি।
তবে খণ্ডকালীন চাকরি করে টিউশন ফি জোগাড়ের স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা দেশটিতে এলেও, বাস্তবে অনেকের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় মেটানোই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সিডনির জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে তাল মেলাতে না পেরে অনেক বাংলাদেশি পরিবার মেলবোর্নসহ অন্যান্য শহরে পাড়ি জমাতো। তবে সেখানেই স্বস্তি মিলছেনা। গত বছর দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় অনেক শহরই পৃথিবীর ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের অনেকের জন্যই বাড়ি-গাড়ির ঋণের মাত্রাতিরিক্ত সুদ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ২০২৬ সাল নাগাদ অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়সহ প্রবাসীদের।
- `রক্তদানে বিত্ত বৈভব নয় প্রয়োজন সেবার মানসিকতা`
- প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে টোটাল ফিটনেস ডে
- ১২ পয়েন্ট কাটা পড়লেই বাতিল ড্রাইভিং লাইসেন্স
- তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শ্রমিক পাঠাতে চায় বাংলাদেশ
- মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক
- সফলতার গল্প পড়ে পাঠকেরা অনুপ্রাণিত হন
- সৈয়দ নজরুল ও আশরাফের ম্যুরালে কালি লেপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- নব্বইয়ের দশকে গ্রামে আমাদের শৈশব কৈশোরের ঈদ
- যেসব কারণে দেশের বড় অংশজুড়ে মরুভূমির মতো আবহাওয়া
- সরকারের এক্সিলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্প ও জাতি