বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আওতাভুক্ত ৯টি দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের বিল বাবদ ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন বা ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভের এ স্থিতি দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী-আকুর দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বিপিএম-৬ গণনার হিসাব মান অনুযাযী এটা ১৯ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে কর্মদিবস ৬ মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ছিল ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এ পরিমাণ রিজার্ভ সন্তোষজনক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেশভুক্ত ৯টি দেশের আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর আগে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের আকু বিল ছিল ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। তার আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ছিল ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। বিগত ছয় মাসে আকু বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার (০৮ মার্চ) আকুর দায় পরিশোধ হয়েছে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ডলার নিয়ে এখন আর কোনো উল্লেখযোগ্য অভিযোগ নেই। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল। আশা করা যায়, সামনে রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া আমদানি খরচ ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ভারসাম্য রিজার্ভের ইতিবাচক অবস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি সঠিক নীতিমালা প্রয়োগের ফলে অর্থনৈতিক চাপ অনেকটাই কমেছে। আবার মূল্যস্ফীতির গতিও নিম্নমুখী।
আকু আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দফতর। এর মাধ্যমে একটি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় প্রতি দুই মাস পরপর পরিশোধ করা হয়। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আকুর সদস্য পদ উন্মুক্ত।
- `রক্তদানে বিত্ত বৈভব নয় প্রয়োজন সেবার মানসিকতা`
- প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে টোটাল ফিটনেস ডে
- ১২ পয়েন্ট কাটা পড়লেই বাতিল ড্রাইভিং লাইসেন্স
- তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শ্রমিক পাঠাতে চায় বাংলাদেশ
- মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক
- সফলতার গল্প পড়ে পাঠকেরা অনুপ্রাণিত হন
- নব্বইয়ের দশকে গ্রামে আমাদের শৈশব কৈশোরের ঈদ
- ভারতে যাওয়া কমেছে বাংলাদেশিদের
- সৈয়দ নজরুল ও আশরাফের ম্যুরালে কালি লেপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- যেসব কারণে দেশের বড় অংশজুড়ে মরুভূমির মতো আবহাওয়া