ঢাকা, ২০২৪-১১-২৯ | ১৫ অগ্রাহায়ণ,  ১৪৩১

১৬ বছরের বঞ্চনার কথা বললেন তরুণ কণ্ঠশিল্পী-কলাকুশলীরা

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০৩:২৪, ১৬ আগস্ট ২০২৪  

আয়োজকদের একজন বলেন, ‘গত ১৬ বছরে সংগীতাঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলীয়করণের যে মহোৎসব দেখা গেছে, তা থেকে পরিত্রাণ চাই আমরা।

পতনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরে সংগীতাঙ্গনে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও দলীয়করণের হাত থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তরুন কণ্ঠশিল্পী ও কলাকুশলীরা।

আজ বুধবার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'মুক্ত শিল্পী সমাজ'—এর ব্যানারে আয়োজিত এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সভায় দুই শতাধিক তরুণ শিল্পী-কলাকুশলীরা অংশ নেন।

সভার অন্যতম আয়োজক সংগীতশিল্পী মুহিন খানের ভাষ্য, 'মুক্ত শিল্পী সমাজ' একটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন, 'গত ১৬ বছরে সংগীতাঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলীয়করণের যে মহোৎসব দেখা গেছে, তা থেকে পরিত্রাণ চাই আমরা। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এদেশের কণ্ঠশিল্পীরা তাদের পেশার স্বীকৃতি পাননি।'

বৈষম্য দূরীকরনে শিল্পী-কলাকুশলীদের নিয়ে নতুন একটি 'মনিটরিং ডাটাবেজ সেন্টার' তৈরির ঘোষণা দিয়ে এর কার্যক্রম কেমন হবে সেটাও ব্যাখ্যা করেন মুহিন খান। বলেন, 'এই সেন্টার অনেকটা মিউজিক রেগুলেটরি কমিশন হিসেবে কাজ করবে। সংগীতের উন্নয়নসহ সুস্থ সঙ্গীতের চর্চা নিশ্চিত করা ও বৈষম্য দূর করা হবে এর কাজ। আমরা রেডিও-টেলিভিশনে কোনো কালো তালিকাভুক্তি চাই না। শিল্পীদের সম্মান-সম্মানী ঠিকমতো দিতে হবে। বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে আমরা শ্রদ্ধেয় ড. ইউনূস স্যারের কাছে যাব।'

সভায় অংশগ্রহণকারীরা রেগুলেটরি কমিশনের অনুমোদন, গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, সংগীত পরিচালক ও শব্দগ্রাহক পেশার স্বীকৃতি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি দূর করা, সরকারি-বেসরকারি সব গণমাধ্যমে শিল্পীদের সম্মানী বৃদ্ধি, রয়্যালটির সমবণ্টন, অডিও-ভিডিও কোম্পানিগুলোর আধিপত্য দূর করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

'মুক্ত শিল্পী সমাজ'—এর এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নোলক বাবু, বিনোদ রায়, পল্লব ভট্টাচার্য, আহমেদ রিজভী, এন আই বুলবুল, রাজীব হোসেন, আজমির বাবু, সুজন আরিফ, রাফাত, মুন, সাবরিনা সাবা, খেয়া, দোলাসহ আরও অনেকে।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়