ঢাকা, ২০২৪-১১-২৮ | ১৪ অগ্রাহায়ণ,  ১৪৩১

পুনর্গঠিত হলো সিনেমা আমদানি-রপ্তানি কমিটি

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০২:০২, ৩ অক্টোবর ২০২৪  

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের পর এবার চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আজ (২ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭ এর ৭ এর অনুচ্ছেদ ৬ মোতাবেক চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানির সুপারিশ প্রদানের জন্য ১২ সদস্যের কর্মকর্তা ও ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্দেশনাক্রমে এ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহবায়ক করে এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে করা হয়েছে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির প্রশাসক, বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা আবিদ মল্লিক, চলচ্চিত্র সাংবাদিক শিবলী আহমেদ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে।

জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭ এর ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রপ্তানি ও বিদেশি চলচ্চিত্র বাংলাদেশে আমদানির ক্ষেত্রে সমতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হবে বিদেশে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বাজার তৈরি, সম্প্রসারণ এবং দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার। সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন, বিধি ও আদেশ অনুযায়ী সরকারের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। এ অনাপত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে রপ্তানির জন্য প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রের বিষয়, কারিগরি ও নান্দনিক মান বিচার করে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্র বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে পারবে কি না এবং বিদেশে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বাজার সৃষ্টি বা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে কি না এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

যদিও বিগত বছরগুলোতে উপরোক্ত নীতিমালা মেনে ছবি আমদানি-রপ্তানির খবর তেমন পাওয়া যায়নি। তবে সাফটা চুক্তি অনুসারে ভারত থেকে সিনেমা এনে নিয়মিত বাংলাদেশে চালানো হতো। যদিও ভারত থেকে আনা নতুন সিনেমার বিনিময়ে বাংলাদেশের পুরোনো সিনেমা পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। ভারতের নামসর্বস্ব কিছু প্রেক্ষাগৃহে সেসব ছবি চালানো হতো বলে জানা গেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সিনেমা ভারতে চালানো হতো না।

এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, ১৫ সদস্য-বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে বোর্ডের সদস্য সচিব করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেট আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩-এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।

বোর্ডের অন্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব; প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গবেষক ড. জাকির হোসেন রাজু, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, লেখক ও সংগঠক জাহিদ হোসেন, চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির, চলচ্চিত্র পরিচালক খিজির হায়াত খান, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ এবং চলচ্চিত্র পরিচালক তাসমিয়া আফরিন মৌ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়