সিনেমায় অনুদান বন্ধ করে সিনেপ্লেক্স বাড়ানো জরুরি
প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ
প্রতিবছর সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে প্রায় ২০ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়। এই অনুদান বন্ধ করে দেশজুড়ে সিনেপ্লেক্স বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আব্দুল আজিজ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টেজাব) একটি চলচ্চিত্র বিষয়ক সংলাপের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত হয়ে আব্দুল আজিজ এই মন্তব্য করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রতি বছর সিনেমায় ২০ কোটি টাকার সরকারি অনুদান বন্ধ করে কমপক্ষে তিনটি সিনেপ্লেক্স করে দেয়া উচিত। এটা বেশি জরুরি। এতে ইন্ডাস্ট্রি টিকবে। যেভাবে অনুদান দেয়া হয় এতে ইন্ডাস্ট্রির কোনো লাভ হয় না।’
সেইসঙ্গে যৌথ প্রযোজনার নিয়মগুলোও চেঞ্জ করা উচিত বলে দাবি করেন তিনি। সহজ উপায়ে যৌথ প্রযোজনার সুযোগ হলে বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলো দিয়ে বাংলাদেশের হলে দর্শকের ঢল নেমেছে বলেও দাবি করেন একসময় যৌথ প্রযোজনায় অনিয়মের জন্য অভিযুক্ত প্রযোজক আব্দুল আজিজ।
টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘চলচ্চিত্রের চাঁদমারি : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সিনেপ্লেক্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খালেদ আহমেদ শাম্মি, তারিক আনাম খান, রায়হান রাফি, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, আরিফুর রহমান (নির্মাতা ও প্রযোজক), তিতাস জিয়া (অভিনেতা, শিক্ষক, সদস্য – পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি), প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, মো. মনিরুজ্জামান খান (নির্বাহী প্রকৌশলী, বিএফডিসি), টেজাব সভাপতি নাজমূল আলম রানা, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ জয় প্রমুখ।
নিজের বক্তব্যে ‘তুফান’ সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘দেশে সিনেমার মার্কেট আছে শত কোটি টাকার। যেসব সিনেমা হল চালু আছে, সেগুলোতে যদি টানা দুই মাস মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ভালো চলে তবে শত কোটি টাকা ব্যবসা করা সম্ভব। ফিল্মে কিছু পলিসি আছে। এগুলো অতি দ্রুত চেঞ্জ করা উচিত। যদি চেঞ্জ করা যায়, তবে যে কোন সিনেমা মোটামুটিভাবে রেভিনিউ তুলে আনা সম্ভব।’
গল্পের প্রয়োজনে অনেক ভায়োলেন্স বা সত্যটা দেখাতে গেলে সেটা দেখানো যায় না। নতুন যে সার্টিফিকেশন বোর্ড হয়েছে আগের থেকে এখানে কী কী পার্থক্য এবং ‘ল’ আছে সে বিষয়গুলো ভালোভাবে জানানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন শাকিল।
হল ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলা আছে সেগুলোতে কত টাকা টিকিট বিক্রি হচ্ছে তা ঠিকঠাক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। হলে প্রতিনিধি পাঠানো হয় প্রতিনিধিকে পাহারা দেয়ার জন্য আরেকজন প্রতিনিধি পাঠাতে হয়। এতে করে শুধু প্রযোজক নয়, সরকারও ঠিকভাবে ট্যাক্স পাচ্ছে না। সরকার যদি বক্স অফিস ও ই-টিকেটিং ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে সঠিক ট্যাক্স পাবে এবং আমরা ব্যবসা করতে পারব।
যে রেশিওতে সিনেপ্লেক্স টাকা দেয় ১০ কোটি টাকা ব্যবসা করতে হলে ৬০ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করতে হয়। পরস্পরের আলোচনায় যদি আমরা এই হিসাবটা ঠিক করতে পারি তাহলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। এ ছাড়া ছবি মুক্তি দিতে গিয়ে পাইরেসির ভয় পেতে হয়। এতে করে নতুন সিনেমাটা ধ্বংসের মুখে চলে যায়।’
এছাড়াও সংলাপে অন্যান্য বক্তারা সিনেমার উন্নয়নে নানা বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
- এক জীবনে খুব বেশি চাইনি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি: রাইসুল ইসলাম
- বাংলাদেশে একইদিনে চঞ্চল চৌধুরীর ‘পদাতিক’
- ইলিয়াস কাঞ্চনের অর্জনে আমি বেশি খুশি: ডলি জহুর
- ১২ গান নিয়ে নওশীন মনযূর-এ-খুদা
- দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম, সঙ্গে গরম—মেট্রো ধরলেন হৃতিক
- ৪০০ কোটি টাকায় বাড়ি বিক্রি করলেন ব্র্যাড পিট
- রাজের ৩ সিনেমার পোস্টার দেখে কী যে আনন্দ হয়েছিল: পরীমনি
- বাংলা একাডেমির সাম্মানিক ফেলোশিপ পাচ্ছেন তানভীর মোকাম্মেল
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া ও তাঁর স্বামীর নামে পুল
- শাকিব খান একজন পাওয়ারফুল আর্টিস্ট: মিশা সওদাগর