কঙ্গনার সিনেমায় বঙ্গবন্ধু

বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত নির্মিত ও অভিনীত ‘ইমার্জেন্সি’ এক সপ্তাহ আগে মুক্তি পেয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি চরিত্র রয়েছে। চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন টালিউড অভিনেতা ঋষি কৌশিক।

শুরু থেকে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেননি ঋষি কৌশিক। সিনেমাটি মুক্তির এক সপ্তাহ পরে নিজের লুকের শেয়ার করেছেন এ অভিনেতা। সেই সঙ্গে এই চরিত্র এবং কঙ্গনার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও জানালেন তিনি।

২০২২ সালে কঙ্গনার প্রযোজনা পক্ষ থেকে ঋষির কিছু ছবি চাওয়া হয়েছিল। অভিনেতা পরে জানতে পারেন যে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের জন্য তাকে নির্বাচন করা হয়েছে। ঋষি বললেন, ‘আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমার চেহারার সঙ্গে তার (বঙ্গবন্ধুর) কোনো মিল নেই।’ তারপর চরিত্রের লুকসেট করতে এক দিনের জন্য মুম্বাই পাড়ি দেন ঋষি।

অভিনেতা বললেন, ‘মেকআপের পর নিজেকেই চিনতে পারছিলাম না। মেকআপ শিল্পীরাও বললেন যে তারা ৯০ শতাংশ লুক মিলিয়ে দিয়েছেন।’ ঋষির সঙ্গেই ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর চরিত্রের জন্য অভিনেতা মিলিন্দ সোমনের লুকসেট করা হয় বলে জানালেন অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধুর লুকে নিজের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন ঋষি। অভিনেতা জানালেন, প্রস্থেটিক রূপটানের জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগত। দিল্লি ছাড়াও আসামে সিনেমার শুটিং করেছিলেন ঋষি। অভিনেতা এখনো ছবিটি দেখেননি। তবে পরিচিতদের থেকে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন। বললেন, ‘যারা আগে থেকে বিষয়টা জানতেন তারা ছবি দেখে প্রশংসা করছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা আমাকে দেখে চিনতেও পারেননি। বিষয়টি বেশ মজার।’

সিনেমাটিতে কঙ্গনা ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু তার সঙ্গে ঋষির কোনো দৃশ্য ছিল না। তবে নির্মাতা কঙ্গনাকে ফ্লোরকে সব সময়েই পেয়েছিলেন তিনি। বললেন, ‘অসাধারণ একজন মানুষ। পরে ইউনিটের থেকেই জানতে পারি, বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের জন্য কঙ্গনাই নাকি আমাকে নির্বাচন করেছিলেন।’

কঙ্গনা নির্মাতা হিসেবে কেমন- এ প্রসঙ্গে ঋষি জানান, কঙ্গনা তাকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। শুটিংয়ের সময় অবাঙালি অভিনেতাদের বাংলা বলতে সমস্যা হচ্ছিল। ঋষির কথায়, ‘আমি বাঙালি বলে কঙ্গনা আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন, যাতে অবাঙালি অভিনেতারা সঠিক বাংলা বলেন। পরে ডাবিং করতে গিয়েও সহকারী পরিচালক জানান, কঙ্গনা বলেছেন, আমাকে আমার মতো বুঝে ডাবিং করতে। ভালো লেগেছিল।’

এ সিনেমার শুটিং হয়েছে আসামে। ঋষি তেজপুরের ছেলে। অভিনেতার থেকে তা শুনেই কঙ্গনা তার কলেজ জীবনের গল্প শোনান। ঋষির কথায়, ‘তার পরেই কঙ্গনা জানালেন যে কলেজ জীবনে তার আসামের অনেক বন্ধু ছিল। তাদের সঙ্গে কঙ্গনার যোগাযোগ অটুট রয়েছে।’ ঋষি জানালেন, চরিত্র ছোট হলেও ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা তিনি কখনো ভুলতে পারবেন না।