জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে বিপুল ভোটে বাংলাদেশের বিজয়
জাতিসংঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য (২০২৫-২০২৭) এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রার্থী হিসেবে ১৮৯ ভোটের মধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা ও উজবেকিস্তান এ নির্বাচনে জয়লাভ করে। ECOSOC জাতিসংঘের মূল ৬টি অঙ্গের একটি এবং বহুপক্ষীয় ও উন্নয়ন কূটনীতি প্রশ্নে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম হিসেবে বিবেচিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ২০৩০ এজেন্ডা ও ভিশন-২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে চলছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের উন্নয়ন বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নির্বাচনস্থলে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ বাংলাদেশের বিজয় কে “বাংলাদেশের উন্নয়ন সফলতার বৈশ্বিক স্বীকৃতির অংশ এ বিজয়” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বস্তুত, বাংলাদেশ যে অন্যান্য দেশের বিশ্বাস, নির্ভরতা ও সম্মান অর্জন করেছে - সাধারণ বিবেচনায় বাংলাদেশের অব্যাহত বৈশ্বিক নির্বাচনে সাফল্য - বিশেষত, অত্যন্ত সম্মানজনক এ নির্বাচনের সাফল্য - তারই স্বীকৃতি। গতকালই রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মাদ আব্দুল মুহিত জাতিসংঘের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির (২য় কমিটি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি জনাব ডেনিস ফ্রান্সিস-এর সভাপতিত্বে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের বিজয় বার্তায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, “এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও সৃষ্টিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের স্বীকৃতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ও বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ”। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহিত বলেন, “ইকোসকের সদস্যপদ আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে অবাধ ও টেকসই উত্তোরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
ইকোসকের সদস্যপদ জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরাম, কমিশন, কমিটি, নির্বাহী বোর্ড, ইউএনএসকাপ-এর মতো আঞ্চলিক প্লাটফরমসমূহে সহায়ক নীতি প্রণয়নসহ বাংলাদেশের নেতৃত্ব এবং জাতিসংঘের ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করবে। এ বিজয় আমাদের উন্নয়ন অভিজ্ঞতার সাফল্যসমূহকে বিশ্বের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে সহায়ক হবে বলে রাষ্ট্রদূত মুহিত উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বর্তমানে ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ ইউএনঅপ্স-এর নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
ECOSOC-এ আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তিন বছর মেয়াদে (২০২৫-২০২৭) বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করবে।
- GOVERNOR HOCHUL SIGNS LEGISLATION TO
PROTECT LOW-INCOME NEW YORKERS FROM FRAUD - ব্রঙ্কসে ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির বারবিকিউ পার্টি অনুষ্ঠিত
- কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরের সাথে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মতবিনিময়
- জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- ম্যানহাটনে তিন নারী ছুরিকাহত
- ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসান চায় বাংলাদেশ
- নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা - বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
- ইমিগ্রেশনে উত্তম সেবার সংকল্পে জ্যাকসন হাইটসে অ্যাটর্নি রুমা