ইসলামে কি ধ্যান বা মেডিটেশন জায়েজ?
প্রবাস নিউজ ডেস্ক :
প্রবাস নিউজ
প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
ইসলামে ধ্যান বা মেডিটেশন জায়েজ কি না এ প্রশ্নের উত্তর বোঝার জন্যে আপনাকে তাকাতে হবে ইসলামের যে মূল ধর্মগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন, সেখানে এর কথা কোথাও আছে কি না।
‘ধ্যান’ একটি বাংলা শব্দ এবং ‘Meditation’ ইংরেজি শব্দ। আর কোরআন নাজিল হয়েছে আরবি ভাষায়।
তাহলে ধ্যান বা মেডিটেশন এর আরবি প্রতিশব্দ কী সেটা আগে জানতে হবে এবং দেখতে হবে এই প্রতিশব্দটি কোরআনে আছে কি না।
অধ্যাপক মালিক বাদরি একজন বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী, গবেষক ও থেরাপিস্ট যিনি প্রচলিত মনোবিজ্ঞানের সাথে ইসলামকে সম্পৃক্ত করে মনোরোগ চিকিৎসায় এক নতুন ধারার সূত্রপাত করেছেন।
তার বই- ‘আল তাফাক্কুর মিন আল মুশাহাদাহ ইলা আল-শুহুদ’ এর ইংরেজি অনুবাদের প্রচ্ছদ শিরোনাম করা হয়েছে ‘Contemplation – An Islamic Psychospiritual Study’.
অর্থাৎ ‘তাফাক্কুর’ শব্দটিকে এখানে Contemplation হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে।
অধ্যাপক মালিক বাদরি
এই Contemplation, ইংরেজি Meditation এরই একটি সমার্থক শব্দ (সূত্র : Oxford Languages Dictionary)
তার মানে আরবি ‘তাফাক্কুর’ ইংরেজি Meditation এরই মর্মানুবাদ।
এবার দেখি পবিত্র কোরআনে এই ‘তাফাক্কুর’ শব্দটি কী প্রসঙ্গে এসেছে।
উপরোক্ত ১৯১ নং আয়াতে “ইয়াতাফাক্কারুনা” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। শব্দটি তাফাক্কুর বা ফিকর শব্দ খেকে আগত। যার অর্থ কোনো কিছু নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করা।
একইসাথে কোরআনে ‘তাদাব্বুর’ শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েছে। যার অর্থও গভীর ধ্যান। সূরা সাদ, সূরা নিসা, সূরা মুহাম্মদ ও সূরা মুমিনুন - এই চারটি সূরায় তাদাব্বুর বা গভীর ধ্যান কথাটি চার বার এসছে।
এবার আসা যাক মেডিটেশন বা ধ্যান কেন? মেডিটেশন বা ধ্যান করলে কী হয়?
পবিত্র কোরআনের সূরা হা-মিম-সেজদা এর ৫৩ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- "সময় হলেই আমি আমার মহিমার নিদর্শনসমূহ বহির্জগতে ও তাদের অন্তর্জগতে প্রদর্শন করব। ফলে তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, কোরআনের বাণী সত্য। এর পূর্ব পর্যন্ত এটাই (জানা) কি যথেষ্ট নয় যে, তাদের প্রতিপালক সব বিষয়ে অবহিত?"
আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহতায়ালা তাঁর মহিমার নিদর্শন বহির্জগতের পাশাপাশি মানুষের অন্তর্জগতেও প্রদর্শন করবেন। আর অন্তর্জগতে তাকানোর একমাত্র মাধ্যম আত্মনিমগ্ন হওয়া, ধ্যান বা মেডিটেশন চর্চা করা।
ভিডিও : মেডিটেশন কী ও কেন?
বৈজ্ঞানিকভাবে মেডিটেশনের সবচেয়ে স্বীকৃত উপকার হলো- মনোসংযোগ বা মনোযোগ।
২০০৫ সালে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের গবেষক সারাহ লাজার ও তার সহকর্মীরা এক গবেষণায় দেখতে পান নিয়মিত মেডিটেশনে মনোযোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং রাইট অ্যান্টেরিয়র ইনসুলা - এ দুটোর পুরুত্ব এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে যারা নিয়মিত মেডিটেশন করেন তাদের পক্ষে দীর্ঘসময় একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ।
আর্টিকেল : মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায় মেডিটেশন
ইসলাম যেসব ইবাদত-বন্দেগির কথা বলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ।
নামাজে আমরা অনেকেই সূরা মাউন পড়ে থাকি। নামাজ কীভাবে পড়তে হবে সূরা মাউনে সে প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-
.... দুর্ভোগ সেই নামাজীদের জন্যে, যারা সচেতনভাবেই নামাজে অমনোযোগী, শুধু লোক দেখানোর জন্যে নামাজে শামিল হয়...
আর সূরা বাকারা-র ২৩৮ আয়াতে বলা হয়েছে- তোমরা নামাজে মনোযোগী হও, বিশেষভাবে মধ্যবর্তী নামাজে আল্লাহর সামনে এমন বিনয়াবনতভাবে দাঁড়াও, যেভাবে একজন অনুগত দাস দাঁড়িয়ে থাকে।....
হাদীস কী বলছে? তিরমিজী শরীফে আল ফজল ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত একটি হাদীস হলো একাগ্রচিত্ততা (হুদরিল ক্বালব) ছাড়া নামাজ আল্লাহ গ্রহণ করেন না।
আর বোখারী শরীফের খুব বিখ্যাত একটি হাদীস হলো- ইহসান (সবচেয়ে ভালোভাবে নামাজ পড়া) হলো, তুমি এমনভাবে নামাজ পড়ো (ইবাদত করো), যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ। কারণ তুমি যদি দেখতে না-ও পাও, নিশ্চিতই তিনি তোমাকে দেখছেন। [আবু হুরায়রা (রা)]”
প্রশ্ন হলো- আমরা কয়জন এভাবে নামাজ পড়তে পারি?
উত্তর : অধিকাংশই না। কারণ সাধারণভাবে আমাদের বেশিরভাগেরই মনোযোগ খুব বিক্ষিপ্ত। আর নামাজে যেন সেটা আরো বেশি!
মেডিটেশন এই বিক্ষিপ্ত-চঞ্চল মনকেই শান্ত করে, স্থির করে। একমনে তিনি তখন তার কাজ, ভাবনা বা নামাজ, অর্থাৎ যা করা দরকার তা করতে পারেন।
বাংলা ভাষায় মেডিটেশনের সবচেয়ে সফল ও কার্যকর পদ্ধতি কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন। গত ৩০ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশনের ধ্যান প্রক্রিয়া চর্চা করে যেসব সাফল্য পেয়েছেন তার অন্যতম হলো মনোযোগ।
এবং মুসলমানদের মধ্যে যারা নামাজ পড়েন তারা অনেকেই নামাজে আগের চেয়ে বেশি মনোযোগ পাচ্ছেন বলে স্বীকার করেছেন।
এদের মধ্যে সাধারণরা তো বটেই, বিশিষ্ট অনেক আলেম-ওলামাও আছেন যারা নিঃসঙ্কোচে বলেছেন, মেডিটেশন করে নামাজে তাদের মনোযোগ বেড়েছে। নামাজ পড়ে যে তৃপ্তি তারা এখন পাচ্ছেন, আগে কখনও তা পান নি!
সাহাল বিন সাদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলীম উদ্দিন। তিনি বলেন, হাদীসে জিবরাইলে যে ইহসানের কথা বলা হয়েছে, যে তুমি আল্লাহকে দেখছ বা সেটা না পারলে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন, আমি বলব, এখানে আসার পর দ্বিতীয় দিন থেকেই এ অবস্থা শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!
ভিডিও : 'হুজুরে ক্বালবের সাথে নামাজ'
অনেকে বলবেন, রাসুলুল্লাহ কি মেডিটেশন বা ধ্যান করেছেন? না তিনি মেডিটেশন বা ধ্যান করেন নি! তিনি তাফাক্কুর বা তাদাব্বুর (কোরআনে ধ্যান বা মেডিটেশনের প্রতিশব্দ) করেছেন।
নবুয়ত প্রাপ্তির আগে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রতি রমজানে তিনি চলে যেতেন বাড়ি থেকে দূরে হেরা গুহায়। নীরবে নিভৃতে ধ্যানে মগ্ন হয়ে যেতেন। বছরের পর বছর এই আত্মমগ্নতার প্রক্রিয়াতেই তিনি উপলব্ধি করেন সত্যকে। আর স্রষ্টাও প্রকাশিত হয়েছিলেন তার সামনে তার বাণী নিয়ে।
আর্টিকেল : ধ্যান মোরাকাবা মেডিটেশন : দেশে দেশে যুগে যুগে
ধ্যান বা মেডিটেশনকে নবীজী (স) কত গুরুত্ব দিয়েছেন তা বোঝা যায় একটি হাদীসে-
There is no worship like contemplation. অর্থাৎ গভীর ধ্যানের তুল্য কোনো ইবাদত নেই।
তুর্কি ইসলামিবিদ আল্লামা উসমান নুরী তার Contemplation in Islam বইয়ের শুরুতেই বায়হাকিতে বর্ণিত এ হাদীসটির উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
আর সেই হাদীসটিও আমরা অনেকেই জানি-
একঘণ্টার ধ্যান ৭০ বছরের নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। — আবু হুরায়রা (রা); জামে উস-সগীর, ইবনে হিব্বান
অর্থাৎ ধ্যানকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজেও ধ্যান করেছেন। তবে তার অনুসারীদের ওপর তিনি ধ্যান চাপিয়ে দেন নি। কারণ অনেক কঠোর সাধনা নবীজী (স) নিজে করেছেন, কিন্তু অনুসারীদের ওপর চাপিয়ে দেন নি। বলেছেন—তোমরাও করতে পারো।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. তারিক রামাদান তার The Messenger : The meaning of the life of Muhammad বইতে বলেছেন, He did not demand of his companions the worship, fasting and meditation that he exacted of himself.
অর্থাৎ তিনি যেভাবে ইবাদত করতেন, রোজা রাখতেন এবং মেডিটেশন করতেন—তিনি তাঁর অনুসারীদের ওপর সে কঠোরতাকে চাপিয়ে দিতে চান নি। অনুসারীদের জন্যে তিনি অনেক নরম ছিলেন।
কোরআন অনুধাবনের জন্যে ধ্যান-
আমরা জানি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানবজাতির জন্যে যে কোরআন নাজিল করেছেন, তাতেই আছে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। কিন্তু এই জীবন বিধান অনুসরণের জন্যে প্রয়োজন এ বাণীর অনুধাবন, উপলব্ধি। আর কোরআন নিজেই কোরআন অনুধাবনের জন্যে বলেছে এই ধ্যান এর কথা, মেডিটেশন এর কথা বা তাদাব্বুরে কোরআন এর কথা।
হে নবী ! আমি তোমার ওপরে এই কল্যাণময় কিতাব নাজিল করেছি, যাতে মানুষ এই কোরআনের বাণী নিয়ে গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হয়, সেই সাথে সহজাত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে এর শিক্ষা অনুসরণ করে। (সূরা সাদ, আয়াত ২৯)
এরপরও কি ওরা কোরআন নিয়ে গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হয়ে তা অন্তরে ধারণ করবে না? নাকি মনের দরজা বন্ধই করে রাখবে? (সূরা মুহাম্মদ আয়াত ২৪)
‘(হে নবী! ওদের) বলো, আমি তোমাদের একটিমাত্র পরামর্শ দিচ্ছি এককভাবে বা যৌথভাবে আল্লাহর সামনে সচেতন হয়ে দাঁড়াও। নিজের গভীরে ধ্যানে নিমগ্ন হও, (তাহলেই উপলব্ধি করতে পারবে) তোমাদের সঙ্গী আদৌ উন্মাদ নয়। আসন্ন কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সে একজন সতর্ককারী মাত্র’। [সূরা সাবা ৪৬ নম্বর আয়াত]
‘এরপরও কোরআনকে অনুধাবন করার জন্যে ওরা কি গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হবে না (বা ওদের সহজাত বিচারবুদ্ধিও প্রয়োগ করবে না)? কোরআন যদি আল্লাহর কালাম ছাড়া অন্য কিছু হতো, তাহলে অবশ্যই এর মধ্যে অনেক অসঙ্গতি থাকত। [সূরা নিসা, ৮২]
পবিত্র কোরআন না বুঝে তেলাওয়াত করাও একটি ইবাদত। এর প্রত্যেকটি হরফ পাঠে দশ নেকি। তবে সাহাবায়ে কেরামের নিয়মিত অভ্যাস ছিল তাদাব্বুরে কোরআন বা কোরআনের আয়াত নিয়ে অনুধ্যান করা। বলা হয়- ইসলামি জ্ঞানের আসল মাপকাঠি হলো তাদাব্বুরে কোরআন।
কাজেই ধ্যান বা মেডিটেশন বা কোয়ান্টাম মেথডের সাথে ইসলামের কোনো সংঘর্ষ তো নেইই, এবং ধ্যান বা মেডিটেশন বা কোয়ান্টাম ইসলামে জায়েজ শুধু নয়, একজন মানুষকে প্রকৃত ঈমানদার এবং মুত্তাকীতে রূপান্তরিত হতে হলে ধ্যান বা মেডিটেশন তাকে সত্যিকার অর্থেই অনেকখানি এগিয়ে নেবে।
পবিত্র কোরআনে "বাসায়ের" বা "অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচনকারী আলো" নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে কোরআনকে। সূরা আনআম এর ১০৪ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- '(এ ওহীর মাধ্যমে) তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচনকারী আলো এসে উপস্থিত হয়েছে। যে দেখবে (এ আলোয় আলোকিত হবে) সে কল্যাণ লাভ করবে। আর যে চোখ বন্ধ করে রাখবে, সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (অতএব হে নবী! অন্তর্দৃষ্টিতে ঠুলি লাগানো এই অন্ধদের বলো) ‘আমি তোমাদের পাহারাদার নই।’
আসলে কোরআনের আয়াত নিয়ে যত চিন্তা গবেষণা করা যাবে, অন্তর্দৃষ্টির সামনে থাকা পর্দা তত দূরীভূত হবে।
এইজন্যেই বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ অধ্যাপক মালিক বদরী তার কনটেমপ্লেশন এন্ড ইসলামিক সাইকো-স্পিরিচুয়াল স্টাডি- গ্রন্থে বলেছেন, একজন মুসলমান নিজেকে নিয়ে, স্রষ্টার সৃষ্টিরহস্য নিয়ে ধ্যানে নিমগ্ন হলে আল্লাহর রহমতে অন্য ধ্যানীদের চেয়ে উচ্চতর উপলব্ধিতে উপনীত হবেন।
মিসরীয় ইসলামি স্কলার আল্লামা শেখ ইউসুফ আল কারযাভী
আল্লামা শেখ ড. ইউসুফ আল কারযাভী ইঊরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফতোয়া এন্ড রিসার্চ এর প্রধান। বর্তমান বিশ্বে তিনি সর্বজনমান্য ফকিহ এবং ইসলামি চিন্তাবিদ। ইসলামের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ব্যাপারে তার চাওয়া হচ্ছে- জ্ঞান বিজ্ঞানে পাশ্চাত্য নয় বরং অতীতের মতো ইসলামি সভ্যতা আবারও নেতৃত্ব দেবে। এজন্যে তিনি মত প্রকাশ করেন যে, ‘মুসলিম বিশেষজ্ঞদের অবশ্যই মুক্তমন নিয়ে বিজ্ঞানের সমসাময়িক আবিষ্কারগুলোকে অনেক বেশি পর্যালোচনা করা উচিত।“ (সূত্র: Contemplation – An Islamic Psycho-spiritual Study এর Introduction).
বর্তমানে Psychology, Neuroscience এবং Medical Science এর উল্লেখযোগ্য অগ্রযাত্রার ফলে জাতিধর্ম নির্বিশেষে Meditation, Contemplation, Mindfulness ইত্যাদি নানা নামে পৃথিবীর সর্বত্র ধ্যানের চর্চা দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। ধ্যান চর্চা প্রসঙ্গে অনেক সম্মানিত আলেমে দ্বীন যখন নীরবতা অবলম্বন করছেন, তখন তিনি পরিষ্কার ভাষায় ফতোয়া দিয়েছেন- ধ্যান একটি উচ্চস্তরের ইবাদত।
অতএব আল্লামা কারযাভীর কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরা বলতে পারি- মেডিটেশন বা কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন ইসলামে জায়েজ শুধু না, উচ্চস্তরের ইবাদতেরই অংশ!