জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা
প্রবাস নিউজ ডেস্ক :
প্রবাস নিউজ
প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ৯ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:১১ পিএম, ৯ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার
“জাতির পিতা সংবিধানে নারী অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। যার ফলে জেন্ডার সমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত একযুগে সরকারি, বেসরকারি, আত্মকর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৮ মার্চ বুধবার নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, এম.পি।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে ‘জয়িতা’ কার্যক্রমের সুচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বর্তমানে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেশব্যাপী নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। ‘জয়িতা’-কে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, উrসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা বিধান সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়মিতভাবে তুলে ধরে। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশ তৃতীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। এই কমিটি অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষায় কাজ করে থাকে। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশকে জাতিসংঘের নারী ও শিশু বিষয়ক কার্যক্রমে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা করবে। প্রতিমন্ত্রী বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধিত্বমূলক এ সকল কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিকেলে তিনি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক ইউগোচি ড্যানিয়েলস্ (Ugochi Daniels) সঙ্গে একটি দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন এবং সেখানে তিনি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিরাপদ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন। এর পূর্বে গত ৭ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।