ক্ষতি পোষাতে ফ্রিল্যান্সারদের নগদ প্রণোদনা বাড়ানো হবে: পলক

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রবাস নিউজ

প্রকাশিত : ০৬:৩২ এএম, ৩১ জুলাই ২০২৪ বুধবার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে সারাদেশে টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট শাটডাউন ছিল। চালুর পরও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। কখনও মিলছে, আবার কখনও ধীরগতি। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের ৭ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার। যে ক্ষতির মুখে তারা পড়েছেন, তা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ছয়মাস সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ফ্রিল্যান্সারদের ভয়াবহ এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রণোদনা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ‘চলমান সময়ে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক জরুরি সভা’ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সাররা যে প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করেন তা থেকে যে আয় আসে, তার ওপর নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। সম্প্রতি তাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে এই প্রণোদনাটা একটু বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি নিজে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে কথা বলবো। তাদের নগদ প্রণোদনা যেন ৩ বা ৪ শতাংশ করা হয়, সে বিষয়ে জোর সুপারিশ করা হবে।’

ফ্রিল্যান্সারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ইন্টারনেট শাটডাউন থাকায় এবং দেশের এ পরিস্থিতির কারণে আমাদের ৭ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার ভাই-বোনেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাদের কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। যদিও তাদের ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও সরকার তাদের ব্যাপারে আন্তরিক। সবসময় তাদের পাশে থাকবে সরকার।’

 

এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্রিল্যান্সারদের ৪ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। ফলে ফ্রিল্যান্সাররা এখন কোনো প্রণোদনার সুবিধা পান নি। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিএস) সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের ৪ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার কথা বললেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। তার মধ্যে আবার বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি- নগদ প্রণোদনা ১০ শতাংশ করে তা দ্রুত কার্যকর করা। আইটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পান। তাদের মতোই ফ্রিল্যান্সারদেরও ১০ শতাংশ করা খুবই জরুরি।’