চট্টগ্রাম বন্দরে দেড় বছর ধরে আটকা কুয়েত প্রবাসীদের হাজার হাজার

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রবাস নিউজ

প্রকাশিত : ১২:৪৫ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার

মাত্র দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে পণ্যগুলো পোঁছানোর কথা থাকলেও দেড় বছর পরও তা তাদের পরিবার ও স্বজনদের কাছে পৌঁছায়নি। এক অদৃশ্য কারণে আটকে গেছে পণ্যগুলো। বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিলেও মিলছে না কোনো প্রতিকার।

ফলে প্রবাসীদের হাজার হাজার কেজি ব্যবহারিক পন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও ঢাকা বিমানবন্দরেও এভাবে নষ্ট হচ্ছে আরও কয়েক হাজার কেজি ব্যবহারিক পণ্য। সেগুলোও ছাড় করা হচ্ছে না। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন কার্গো ব্যবসায়ীরাও।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কুয়েত সিটির এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন কার্গো ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘এয়ার অ্যান্ড সী কার্গো সমিতি’। সম্মেলনে সমিতির নেতারা জানান, কুয়েতের কার্গো ব্যবসায়ীরা দুই দেশের আইন মেনে শুধুমাত্র বাহক হিসেবে প্রবাসীদের পণ্য বাংলাদেশে প্রেরণ করে থাকেন।

তাদের অভিযোগ, করোনার আগে বন্দরে পণ্য খালাসে কোনো সমস্যা না থাকলেও করোনার পর থেকে সমস্যা শুরু হয়েছে। গত বছর শুরুর দিকে কুয়েত প্রবাসীদের কয়েক হাজার কেজি ব্যবহারিক পণ্য পাঠানো হলেও তা এখনও বন্দরে আটকে রয়েছে।

কার্গো ব্যবসায়ীরা বলেন, পণ্যগুলোর খালাসের ব্যাপারে বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রবাসীদের পাঠানো এসব পন্যের ওপর ধান চাষ করবেন হুমকি দেন। তাদের অভিযোগ, সাবেক কয়েকজন এনবিআর ও কাস্টমস কর্মকর্তার যোগসাজসে পণ্যগুলো বন্দরে আটকে আছে‌।

ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো ব্যবহারিক পণ্যগুলোর ওপর ‘কমার্শিয়াল’ তথা বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে ভ্যাট ধরা হয়, যা অযৌক্তিক ও অন্যায়। কিন্তু বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে ভ্যাট নিয়েও পণ্যগুলো সঠিক সময়ে ছাড় করা হচ্ছে না। ফলে প্রবাসীদের বাড়িতেও সেগুলো ঠিক মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না। এ কারণে তাদের ব্যবসাও হুমকির মুখে পড়েছে।

ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোনো বাঁধা ছাড়াই কার্গোর মাধ্যমে কম খরচে মালামাল পাঠিয়ে থাকে‌ন কুয়েত প্রবাসীরা। কিন্তু বাংলাদেশে পণ্য পাঠাতে নানা হয়রানির শিকার হতে হয় প্রবাসীদের। এক্ষেত্রে সমস্যার সমাধানে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ প্রয়োগের দাবি কার্গো ব্যবসায়ীদের।