২ নভেম্বর থেকে ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে চলবে ইথিওপিয়ান এয়ার
প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ
প্রবাস নিউজ
প্রকাশিত : ০৮:৩৪ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
ঢাকা থেকে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ফ্লাইট শুরু করছে আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস। আগামী ২ নভেম্বর এ ফ্লাইট চালু হবে। প্রাথমিকভাবে এই রুটে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট চলবে।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৪টি বিদেশি এয়ারলাইনস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিবহন করে। ইথিওপিয়ান যোগ হলে বিদেশি এয়ারলাইনসের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৫। যদিও এখন ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে অফলাইনে তিনটি সাপ্তাহিক নন-শিডিউল কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া আগামীতে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে বেবিচকের।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বাংলাদেশে এয়ারলাইনসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) প্রতিষ্ঠান রিদম গ্রুপ সূত্র জানায়, যাত্রী পরিবহন, বহরের আকার এবং আয়ের দিক থেকে ইথিওপিয়ান আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারলাইনস। এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এয়ারলাইন হিসেবে স্থান পেয়েছে। এখন বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি নিয়েছে সংস্থাটি। কারণ যাত্রী পরিসংখ্যানে, আকাশপথে পরিবহনে বাংলাদেশ একটি বৃহৎ মার্কেট। আর ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস চালু হলে আদ্দিস আবাবায় ট্রানজিট দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬২টি এবং ইউরোপ, আমেরিকার আরও শতাধিক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশের যাত্রীরা।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) এবং রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন। এই গ্রুপের হেড অব বিজনেস ডেভালপমেন্ট মাসুদুজ্জামান বলেন, আমরা ঢাকা-আদ্দিস আবাবায়-ঢাকা ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এ ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি যাত্রীদের ইথিওপিয়ায় ট্রানজিট দিয়ে অল্প সময়ে আফ্রিকার ৬২টি গন্তব্যে পৌঁছে দিতে চাই। এ ছাড়া এ ফ্লাইটের মাধ্যমে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশের যাত্রীরা।
তিনি বলেন, আগে ঢাকা থেকে আফ্রিকার দেশগুলোতে সরাসরি কোনো ফ্লাইট ছিল না। এখন অত্যাধুনিক বোয়িং বি৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে সরাসরি ইথিওপিয়া যাওয়া যাবে। আগামী রোববার থেকে ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস। তখন বেবিচক তাদের নিজ দেশের কূটনীতিকদের মাধ্যমে (ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল) যোগাযোগ করে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আবেদনের অনুরোধ করে। পরে নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে তারা ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন করে। পরে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এই এয়ার সার্ভিস চুক্তি সই করে। দুই সপ্তাহ আগে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসকে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেবিচক।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া সমকালকে জানান, ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু ইথিওপিয়ান নয়, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালকে কেন্দ্র করে উন্নত যাত্রী সেবায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন এয়ারলাইনস। আরও কয়েকটি এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করতে বেবিচকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের গ্রুপ সিইও মেসফিন তাসেউ বলেন, আকাশপথে যাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ একটি গতিশীল এবং ক্রমবর্ধমান বাজার। তাই আমরা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের মাধ্যমে আফ্রিকা ও এশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আমরা আশা করি, আমাদের আধুনিক বহর এবং ব্যতিক্রমী সেবা আমাদের দুই অঞ্চলের যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করবে।’ তিনি বলেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস তার যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা, আরাম এবং সুবিধা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এয়ারলাইনসের আধুনিক বহর, অভিজ্ঞ ক্রু এবং পুরস্কার বিজয়ী পরিষেবা এটিকে সমগ্র আফ্রিকা এবং তার বাইরের ভ্রমণকারীদের জন্য পছন্দের পছন্দ করে তুলেছে। এখন ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের গন্তব্যের তালিকায় ঢাকাকে যুক্ত করে তার প্রাণবন্ত দক্ষিণ এশিয় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে প্রস্তুত।