ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সব সময়ই শক্তিশালী: সিমন্স

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রবাস নিউজ

প্রকাশিত : ০১:২৯ এএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪ রোববার

পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ‘বাংলা ওয়াশ’ করার পর ভারতের মাটিতে গিয়ে চরমভাবে নাস্তানাবুদ হওয়া বাংলাদেশ কি এবার দেশের মাটিতে আবার টেস্ট সিরিজে ভালো করতে পারবে? দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ কি আবার টাইগারদের জয়ের পথ খুঁজে পাওয়ার সিরিজ হবে?

সাকিবকে ঘিরে নানা কৌতূহলী প্রশ্ন, আগ্রহ আর সাকিববিরোধী প্রচারণার মাঝেও ওপরের ওই প্রশ্নটি অনেক বাংলাদেশ ভক্তের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

টাইগার সাপোর্টারদের জন্য আশার আলো জ্বালাছে ইতিহাস। পরিসংখ্যান সাক্ষী দিচ্ছে, সেই ১০ বছর ধরে উপমহাদেশের মাটিতে টেস্ট জেতেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫৩ রানের জয়টিই শেষ, তারপর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় খেলতে এসে ১৩ টেস্টে আর জয়ের মুখ দেখেনি প্রোটিয়ারা।

সর্বশেষ ২০২১ সালে পাকিস্তান সফরে এসে ২ টেস্টের সিরিজে রাওয়ালপিন্ডি (৯৫ রানে) আর করাচিতে (৭ উইকেটে) হেরে ঘরে ফিরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।

ইতিহাস জানায়, এর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার মিরপুর ও চট্টগ্রামে দুই ম্যাচের সিরিজ অমীমাংসিত ছিল। কাজেই ইতিহাসকে মানদণ্ড ধরলে বলা যায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর একটা ভালো সুযোগ এবারের সিরিজ।

টাইগারদের নতুন কোচ ফিল সিমন্সও মানছেন প্রোটিয়াদের হারানোর বেশ ভালো সুযোগ তার নতুন দল বাংলাদেশের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার উপমহাদেশে ট্র্যাক রেকর্ড বেশ খারাপ, সুতরাং এবার দেশের মাটিতে সিরিজটি কি বাংলাদেশের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ না?

আজ শনিবার দুপুরে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে প্রেস মিটে এমন প্রশ্ন করা হলে সিমন্সও বলেন, ‘এটা অবশ্যই খুব ভালো সুযোগ।’

তবে প্রশ্নটা দক্ষিণ আফ্রিকার উপমহাদেশের মাটিতে ট্র্যাক রেকর্ড নিয়ে করা হলেও টাইগার হেড কোচ সিমন্স জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ডকে মানদণ্ড হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হ্যা, সাধারণত বাংলাদেশ ঘরের মাঠে বেশ শক্তিশালী দল। ভালো ক্রিকেট খেলে। তাই আমাদের এ সিরিজ জেতার খুব ভালো সুযোগ আছে।’

তবে বাংলাদেশের নতুন কোচের মনে হয়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা এবার হয়তো নিজেদের সে ধারা বদলাতে চাইবে। এই কাজে প্রোটিয়ারাও হয়তো প্রতিরোধ গড়ার প্রাণপণ চেষ্টা করবে।’

কথা শুনে মনে হলো বাংলাদেশের হেড কোচ এ সিরিজে নিজ দলকেই ফেবারিট মানছেন।