কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রবাস নিউজ

প্রকাশিত : ০১:৪৫ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ০১:৪৮ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার

কুয়েত থেকে চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে কুয়েত সিটির রাজবাড়ী হোটেলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম রেমিট্যান্সযোদ্ধা ফোরাম এবং প্রবাসীদের কল্যাণে মানবিক ফাউন্ডেশনের নেতারা এ দাবি জানান।

সিরাজদৌল্লাহর সভাপতিত্বে এবং আবু হানিফ এরশাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দাবির প্রতি সমর্থন জানান কুয়েত বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ।

এছাড়া হেফাজত ইসলাম কুয়েত শাখার আমির শাঈখ মুহাম্মাদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি জাফর আহমদ চৌধুরী, মাওলানা কাজী ইকবাল, মো আলী, মামুনুর রহমান, আবদুল কাদের, মো. শাহাবুদ্দিন, মো. সুমন, মো. পলাশ দাবি জানান।

কুয়েতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম রেমিট্যান্সযোদ্ধা ফোরাম গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কাশেম। সমাবেশে বক্তারা কুয়েত থেকে চট্টগ্রাম বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুসহ বিগত সরকারের সময়ে অবহেলিত চট্টগ্রামের নানা দুর্ভোগের বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি

কুয়েতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রায় সত্তর হাজারের ওপরে প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। করোনার আগে কুয়েত থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাপ্তাহিক একটি ফ্ল্যাট ছিল। ২০১৯ সালে করোনার সময় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অনেক ফ্লাইট বন্ধ করার পর চালু হলেও কুয়েত থেকে চট্টগ্রামের সেই ফ্লাইটটি আর চালু হয়নি। বন্ধ হওয়ার পর থেকে কুয়েতে নোয়াখালী ফেনীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম প্রবাসীরা ফ্লাইটটি চালু করার দাবি করে আসছিলেন।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম প্রবাসীদের কোনো দাবিই আমলে নেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ কিংবা বাংলাদেশ সরকার। তাছাড়া আল জাজিরা, এয়ার আরাবিয়া, ফ্লাই দুবাইয়ের কয়েকটি এয়ারলাইন্স কুয়েত থেকে দীর্ঘ যাত্রা বিরতি দিয়ে চট্টগ্রামের ফ্লাইট থাকলেও তা বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের রেমিট্যান্স খাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা চট্টগ্রামের কুয়েত প্রবাসীরা চরম ভোগান্তিতে। কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ের ধরনা দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে কুয়েত থেকে সরাসরি বিমানের চট্টগ্রাম ফ্লাইট না দিলে রেমিট্যান্স বন্ধের ঘোষণা দেন তারা। কুয়েত থেকে সরাসরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইটটি আবার চালু হলে যেমন আর্থিক ক্ষতি ও সময় বাঁচবে, তেমনি ভোগান্তি কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।