আজারবাইজানে বাংলাদেশিদের জন্য খুলছে কর্মসংস্থানের নতুন দুয়ার
প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ
প্রবাস নিউজ
প্রকাশিত : ০২:১২ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে ককেশাস অঞ্চলের বৃহত্তম দেশ আজারবাইজান। বছরের শুরুতে ঢাকায় আসবে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। দূতাবাস খোলার বিষয়টিও পর্যালোচনায় রেখেছে বাকু।
ককেশাস অঞ্চলের বৃহত্তম দেশ আজারবাইজান।
খনিজ-জ্বালানি সমৃদ্ধ ধনী আজারবাইজানে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বর্তমানে এক হাজার। সাশ্রয়ী ব্যয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশটির রাজধানী বাকুর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পদচারণা বাড়ছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের।
জ্বালানি বাণিজ্যের পাশাপাশি আজারবাইজানের উল্লেখযোগ্য খাত জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যেখানে দক্ষতা দেখিয়ে চলেছেন প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি কর্মী। গত ১৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের বৈঠকের পর নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশি কর্মসংস্থানের ইস্যুতে।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে ২০২৫ প্রথম দিকে আজারবাইজান সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরে পাঠাবেন বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা থাকায় ঢাকায় দূতাবাস খোলার বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে বাকু।
সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা, আজারবাইজানে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা গেলে আরও উপকৃত হবেন তারা। যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ নেই।
তবে ড্রিম ট্রাভেল এজেন্সির সিইও শাকিল খান সময় সংবাদকে বলেন,
এখানে শিপইয়ার্ড এবং এগ্রিকালচার সেক্টরে কাজ আছে। বাংলাদেশ থেকে কেউ কাজের ভিসা নিয়ে আসতে চাইলে বিভিন্ন শিপইয়ার্ড কোম্পানিতে সিভি দিতে পারেন। অভিজ্ঞতা দেখাতে পারলে চাকরি পাওয়া যায়। এভাবে কাজের সুযোগ আছে।
এসবিএম মেরিন অ্যান্ড (বাকু) প্রা. লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘দূতাবাস না থাকার কারণে আমাদেরকে মালয়েশিয়ার শরাণাপন্ন হতে হয়। যেখানে এক মাসে লোক আনা যায়, সেখানে সাড়ে ৩ মাস বা ৪ মাস লেগে যায়। এ ছাড়া এখানে ব্যাংকিং সিস্টেম বলতে গেলে শূন্য। এখান থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো সহজ নয়। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এক হাজার ডলার পাঠালে ৫০ ডলার খরচ হয়।’
এর আগে গত ১৫ জুন বাকুতে বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে প্রথম ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।