কুয়েতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে বাংলাদেশ কাজ করছে, জানালেন রাষ্ট্রদূত

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রবাস নিউজ

প্রকাশিত : ০১:৪৫ এএম, ১৬ মার্চ ২০২৫ রোববার

কুয়েতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে বাংলাদেশ দূতাবাস আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। তেল, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন সেক্টরে জনশক্তি নিয়োগে কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। 

কুয়েতের শ্রমবাজারে শ্রমিক চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। দেশটির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিভিন্ন খাতে উন্নতি করতে প্রয়োজন দক্ষ কর্মীর। কুয়েতের সরকার নিজ দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি দক্ষ শ্রমিকদেরও নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

স্বাস্থ্যসেবা খাতে চিকিৎসক, নার্স এবং নির্মাণ খাতে দক্ষ কারিগর, মিস্ত্রি ও প্রকৌশলীর যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি বিভিন্ন সেবা খাতে প্রশাসনিক দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

কুয়েতের মূল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি তেল বিদ্যুৎ এবং পানি সেক্টরে বিভিন্ন দেশের প্রকৌশলীদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশি প্রকৌশলীরাও।

তবে, এক সময় কুয়েতে অনেক বাংলাদেশি প্রকৌশলী থাকলেও বর্তমানে আছেন হাতে গোনা কয়েকজন। ভিসা জটিলতার কারণে অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান অনেকে। বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা।

কুয়েত ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম বলেন, নতুন ইঞ্জিনিয়ার না আসার কারণ হলো ভিসা জটিলতা। ভিসা খোলা থাকলেও ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে আসতে পারত।

এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

কুয়েতে জনশক্তি নিয়োগে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে নিতে হয় বিশেষ অনুমতি বা লামানা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ প্রথা বাতিল করে বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের ক্ষেত্রে জোড় প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।

তিনি বলেন, কুয়েত সরকারের নতুন উদ্যোগে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কুয়েতে জনশক্তি আনার ক্ষেত্রে লামানা একটি বড় বাধা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে লামানা প্রথা বাতিল করার জন্য আমি নিজে কুয়েতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছি।

এছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কুয়েতের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে লামানা প্রথা বন্ধ বা বাতিল করার অনুরোধ করেছেন বলে রাষ্ট্রদূত জানান।