নিউইয়র্ক পুলিশের ‘এশিয়ান হেরিটেজ’ উৎসবে বাংলাদেশিদের জয়গান
প্রবাস নিউজ ডেস্ক :
প্রবাস নিউজ
প্রকাশিত : ০৮:২২ পিএম, ১৭ মে ২০২৩ বুধবার
নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনীতে (এনওয়াইপিডি) এশিয়ানদের কর্মকাণ্ডের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে অধিক সংখ্যক এশিয়ান-আমেরিকানের সম্পৃক্ততা ঘটবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে ‘এশিয়ান হেরিটেজ’ অনুষ্ঠানে।
মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুলিশ সদর দফতরের মিলনায়তনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, কোরিয়ান, তাইওয়ানসহ এশিয়ান দেশগুলোর নাচ-গান, খাদ্য পরিবেশন করা হয়। নগরের নিরাপত্তা বিধানে জীবন উৎসর্গকারী এশিয়ান পুলিশ অফিসারদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের স্বজনদেরও পুরস্কৃত করা হয়।
নিউইয়র্ক পুলিশের কমিশনার কীচেন্ট এল স্যুয়েল সকলকে উষ্ণ অভিবাদন জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনীতে বর্তমানে এশিয়ান অফিসারের সংখ্যা ১৬ শতাংশ। এত কম হয়েও তারা কর্মনিষ্ঠার মধ্য দিয়ে গোটা বাহিনীতে বিশেষ এক অবস্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
সমাবেশে বক্তব্যকালে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন’ তথা বাপার প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন করম চৌধুরী বলেন, ১৬ শতাধিক বাংলাদেশি আমেরিকান রয়েছে এই বাহিনীতে। দিন যত যাচ্ছে, আমাদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করম চৌধুরী উল্লেখ করেন, প্রতি বছর মে মাসে ‘এশিয়ান হেরিটেজ’ উদযাপনের সময় এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যকার সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সকল দেশের মানুষের সঙ্গে সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার মধ্য দিয়ে শুধু কমিউনিটি নয়, এই সিটির সকল জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা বিধানে আমরা সক্ষম হচ্ছি। সম্পর্কের দিগন্ত বিস্তৃত হচ্ছে-সমৃদ্ধ হচ্ছে সামাজিক বৈচিত্র্য।
বাপার মিডিয়া লিয়াজোঁ জামিল সারোয়ার জনি অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বাংলাদেশিদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনীকে বিশ্বের এক নম্বর একটি বাহিনীতে পরিণত করতে আমরা অর্থাৎ বাঙালি অফিসাররাও নিরন্তরভাবে সচেষ্ট রয়েছি। সে আলোকেই ২০১৭ সালে ‘বাপা’র প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি এসেছে এই বাহিনী থেকে।
আলোচনার ফাঁকে অনুষ্ঠিত এশিয়ান দেশসমূহের সংগীত-নৃত্য পরিবেশনা পর্বে জেরিন মায়শা এবং সাইয়েদা জ্যোতির নৃত্য বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ এক অবয়ব জাগ্রত করে। চীন, কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের পুলিশ অফিসারদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন মনোমুগ্ধকর এ উৎসবে। সকল দেশের খাদ্য সকলের মাঝে পরিবেশনের ফলে ‘এশিয়ান হেরিটেজ’ তথা এশিয়ান ঐতিহ্যকে দৃশ্যমানের প্রত্যাশাটিও পরিপূর্ণতা পায়। প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে বাহিনীর প্রতিটি অফিসার জনজীবনে শান্তি আর স্বস্তি প্রদানের অঙ্গীকারে বর্ণাঢ্য এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।