নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এ
জাতির পিতার জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন
প্রবাস নিউজ ডেস্ক :
প্রবাস নিউজ
প্রকাশিত : ০৯:১১ এএম, ১ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:১৩ এএম, ১ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ৩১মে বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করেছে।
১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তীর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অগ্রদূত; অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, কনসাল জেনারেল যোগ করেন। ’সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত শান্তির এই বাণী বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতিতে বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বলে কনসাল জেনারেল অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার উপর জোর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সকলকে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের “সোনার বাংলা” বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য এবং জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।