ঢাকা, ২০২৫-০৩-১৯ | ৫ চৈত্র,  ১৪৩১

কুয়েতে বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার কমছে কেন?

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০১:৫৭, ১৫ মার্চ ২০২৫  

কুয়েতে তেল, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন সেক্টরে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা। এসব সেক্টরে বিভিন্ন দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়াররাও। তবে এসব খাতে দিন দিন কমেই চলেছে বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা।

কুয়েতে শ্রমবাজারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, দেশটি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিভিন্ন খাতে উন্নতি করতে চাচ্ছে, যার জন্য দক্ষ কর্মী প্রয়োজন।

কুয়েতের সরকার নিজ দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি দক্ষ শ্রমিকদেরও নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যেমন, স্বাস্থ্যসেবা খাতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট এবং নির্মাণ খাতে দক্ষ কারিগর, মিস্ত্রি ও প্রকৌশলীর যেমন রয়েছে চাহিদা তেমনি বিভিন্ন সেবা খাতে গ্রাহক সেবা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীরও রয়েছে বেশ চাহিদা।

দেশটির মূল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি তেল, বিদ্যুৎ, পানি সেক্টরে বিভিন্ন দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়াররা।

দীর্ঘ তিন দশকের বেশি কুয়েত ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানিতে (কেএনপিসি) কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম সময় সংবাদকে বলেন, অয়েল রিফাইনারি বা পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের লোকজন সুযোগ নিচ্ছে। অথচ ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এক সময় কুয়েতে অনেক বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার ছিল কিন্তু বর্তমানে এখন হাতে গোনা কয়েকজন। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

কুয়েত সরকারের নতুন উদ্যোগে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে লামানা প্রথা বাতিল করে কুয়েতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও উন্নত করার মত সংশ্লিষ্টদের।

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়