ঢাকা, ২০২৪-১১-২৮ | ১৩ অগ্রাহায়ণ,  ১৪৩১

৫-৬ উইকেট ফেলার পর কেন প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পারে না বাংলাদেশ?

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০২:২৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৪  

ব্যাটিংটা বড্ড বেশি খারাপ হচ্ছে। শ্রীহীন, অনুজ্জ্বল, খাপছাড়া, লাগামহীন, বাজে; যাই বলা হোক না কেন, কম বলা হবে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যাট একদমই কথা বলছে না। তারা না পারছেন ব্যাকরণ মেনে খেলতে। না পারছেন মেরেকেটে রান করতে।

ব্যাটিংটা অনেক বেশি খারাপ হওয়ায় সমর্থকদের দুশ্চিন্তা কাটছেই না। নিকট অতীত ও বর্তমানকে মানদণ্ড ধরলে বলতে হবে বোলারদেরও অবস্থাও বিশেষ সুবিধার নয়। বোলাররাও যে খুব ভালো করছেন, তা নয়।

বেশি দূর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। বাংলাদেশ যে শেষ ৩ টেস্ট খেলেছে, তার মধ্যে দুটি টেস্টে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতে এবং একটা পর্যায় পর্যন্ত ভালো বোলিং করে শেষ রক্ষা করতে পারেননি।

চেন্নাইতে প্রথম টেস্টে হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে এক পর্যায়ে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। সেখান থেকে ভারতের দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন সপ্তম উইকেটে দাঁড়িয়ে যান। ১৯৯ রানের বিরাট জুটি গড়ে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে তুলে দেন তারা। অশ্বিন সেঞ্চুরি (১৩৩ বলে ১১৩ ) উপহার দেন আর জাদেজা ১২৪ বলে করেন ৮৬ রান।

মাঝখানে শুধু কানপুর টেস্ট গেছে। এবার শেরে বাংলায় আবার সেই এ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শেরে বাংলায় ৯৯ রানে ইনিংসের অর্ধেক আর ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৮ রানের স্কোর গড়েছে। সপ্তম উইকেটে দুই প্রোটিয়া কাইল ভেরেইন (১৪৪ বলে ১১৪) আর উইয়ান মুলদার (১১২ বলে ৫৪) ১১৯ রানের জুটি গড়লে ইনিংসের চেহারা পাল্টে যায়।

কেন বারবার প্রতিপক্ষের ৫-৬ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও ইনিংসটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না? কী তার কারণ? সেটা কি বোলিং সীমাবদ্ধতা? আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে উঠলো সে প্রশ্ন।

দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা টাইগারদের তরুণ পেসার হাসান জবাব, ‘আসলে টেস্টে এমনটা হয়। (আমাদের বেলায়) অহরহ হতে থাকে। আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে, বেসিকটা ধরে রাখতে। চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে প্রেসারে রাখার। দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করার। এটাই আপনার হাতে আছে। এই আরকি!’

গত ৩ বছর টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের টেইল এন্ডারদের বাগে পেয়েও কেন শিকার করতে পারছে না বাংলাদেশের বোলাররা? এমন প্রশ্নে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের রানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের উইকেটটাও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটারদের বিপক্ষে যে প্ল্যানে বল করা হয়, তাদের বিপক্ষেও প্ল্যান থাকে। কিন্তু কখনও কখনও ওরা রান করে ফেলছে, আমরা চেষ্টা করছি; হচ্ছে না। তবে চেষ্টা থাকতে হবে।’

সচেতন ক্রিকেট অনুরাগীদের ধারণা পুরোনো বলে বাংলাদেশের পেসারদের কার্যকরিতা তুলনামূলক কম। কারন বল পুরোনো হওয়ার পর রিভার্স সুইং আর বাউন্সার হলো অনেক কার্যকর কৌশল ও অস্ত্র। সেই ২ অস্ত্র দিয়েই প্রতিপক্ষের টেইলকে কাবু করা যায় বেশি।

কিন্তু বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এবাদত হোসেন ছাড়া বাকিদের মাঝে বাউন্সার ছোড়া আর রিভার্স সুইং করানোর ক্ষমতা কম। তাই বল পুরোনো হওয়ার পর বাংলাদেশকে স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। কিন্তু ওই সময় প্রতিপক্ষ লোয়ার অর্ডারে ভাঙন ধরাতে চাই রিভার্স সুইং ও বাউন্সার ছোড়ার ক্ষমতাবান পেসার।

হাসান মাহমুদের রিভার্স সুইং করানোর ক্ষমতা থাকলেও বাউন্সার ছোড়ার প্রবণতা কম। তাই প্রতিপক্ষ ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ের পর তার কার্যকরিতা যায় কমে। আর তাই বাংলাদেশ ১০০ থেকে দেড়শোর আশপাশে প্রতিপক্ষ ইনিংসের ৫-৬ উইকেট ফেলে দিয়েও কাজের কাজ করতে পারছে ন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়