এটা বিপিএলের রেকর্ড জানতেন না তাসকিন!
প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

তাসকিন আহমেদ এমন বিধ্বংসী বোলিং করে রেকর্ড স্রষ্টা হয়ে কি ভাবছেন? তার প্রতিক্রিয়া কী? নিশ্চয়ই তা জানতে মুখিয়ে আছেন। তাহলে শুনুন, ঢাকা ক্যাপিটালস অধিনায়ককে টস জিতে ফিল্ডিং না করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেখে অবাক তাসকিন।
তার কথা, ‘আজকে কন্ডিশনটা অনেক ঠান্ডা ছিল। এরকম আবহাওয়া ও কন্ডিশনে আমাদের প্ল্যান ছিল টস জিতলে আমরা বোলিং নিবো। তো ভাবছিলাম যে বল মুভ করবে।’
তাসকিনের ধারনা, ঢাকা অধিনায়ক হয়ত ভেবেছেন উইকেট ফ্ল্যাট থাকবে; কিন্তু বাস্তবে উইকেট পেসারদের পক্ষে ছিল। তাই তার মুখে একথা, ‘আগে বোলিং করাটা তাদের জন্য ভাল হয়েছে এবং আমাদের জন্য ভালো হইছে। ওরা হয়তো ভাবছে ফ্ল্যাট উইকেটে ওরা বড় টোটাল করবে। যা হইছে আলহামদুল্লিলাহ। সব বোলাররাই টস জিতলে বোলিং নিতে চায়। সব বোলাররাই বাড়তি অ্যাডভান্টেজ নিতে চায়। তো আমরা উইকেটের হেল্পও পাইছি, এক্সিকিউশনও করতে পারছি।’
তাসকিনের কথা, ‘যে কোন ম্যাচে ৫ বা তার বেশি উইকেট পাওয়াই অনেক স্পেশাল ব্যাপার।’ সেখানে ৭ উইকেট। অনুভুতি কেমন? জানাতে গিয়ে তাসকিন বলে উঠলেন, ‘ফাইফার তো যে কোনো ফরম্যাটে অনেক স্পেশাল। কারণ অনেকবার তিন উইকেট, চার উইকেট পাইছি কিন্তু উইকেটের সঙ্গে লাকও লাগে পাঁচটা পাইতে। আলহামদুল্লিলাহ এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। যেহেতু আমি বাংলাদেশের ছেলে বিপিএল হিস্টোরিতে আমার একটা নাম থাকবে খেলা ছাড়ার পরও, এটা আমার জন্য একটা প্রাউড মোমেন্ট।’
৮ উইকেটও হতে পারত। সে সুযোগ সম্ভাবনাও ছিল। সে চিন্তা কি মাথায় ছিল? মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে তাসকিনের জবাব, ‘না আসলে লোভে যাই নাই। বেশি লোভে গেলে দেখা গেল হাফ ভলি হতে পারত। তখন বলছি একেকটা ওয়ান বোলারের টাইমে আমি ক্লিয়ার ছিলাম। সিচুয়েশন অনুযায়ী কী করা দরকার এবং সেটা করতে পারছি। ভালো লাগছে যে না যখনই ক্যাপ্টেন আমাকে ট্রাস্ট করে নিয়ে আসছি, ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারছি আলহামদুল্লিলাহ।’
এই ১৯ রানে ৭ উইকেট পাওয়াটা যে বিপিএল রেকর্ড, তা জানতেন না তাসকিন। আমি জানতাম না যে এটাই নতুন রেকর্ড। এমন অবিস্মরণীয় সাফল্য কাউকে উৎস্বর্গ না করলে নিজের ছেলের কথা ভেবে খুব ভাল লাগছে তাসকিনের। তার বিশ্বাস, ৬ বছরের ছেলে তাসফিন নিশ্চয়ই খুব খুশি হয়েছে।
‘না আসলে দিনশেষে আমি যখন ভালো করি বা উইকেট পাই আমার ছেলে আমার বাবা- এরা অনেক খুশি হয়। ডেফিনিটলি ওদের সাপোর্টটাও ইনস্পাইরেশন। কারণ যেদিন আমি ভালো বোলিং করতে পারি না সেদিন তাসফিন অনেক মন খারাপ করে। আজকে আমি শিওর ও অনেক খুশি। তো এটা তাসফিনের জন্যই।’
- ৮১ হাজার সমর্থকের সামনে মঙ্গলবার বার্নাব্যু অভিষেক এমবাপের
- কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে বছর শেষ করবে বাংলাদেশ
- নতুন কোচিং স্টাফ খুঁজবে বিসিবি
- প্রিলিমিনারি হিটেই বাদ ইমরানুর
- ভুল বোঝাবুঝি! ফিফটির পরই ফিরলেন শান্ত
- ডেথ ওভারে বাংলাদেশের ‘নায়ক’ হাসান
- ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতে দল পাঠাবে পাকিস্তান
- এশিয়া কাপ ও এশিয়াড ক্রিকেটের প্রস্তুতি
- বাংলাদেশের বিপক্ষে বিপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন ক্যাম্ফার
- প্রথমে লিটন, পরে সাকিব—যেভাবে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়