ঢাকা, ২০২৫-০৩-২৬ | ১১ চৈত্র,  ১৪৩১

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে অন্যরকম দেখছেন তপু বর্মন

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ২২:১৬, ২৩ মার্চ ২০২৫  

সময় ঘনিয়ে আসছে। মাঝে মাত্র একদিন। তারপরই ফুটবল মাঠে গড়াবে ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ। আগামী মঙ্গলবার মেঘালয়ের শিলংয়ে দুই পড়শী দেশ মুখোমুখি হবে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে।

আন্তর্জাতিক ময়দানে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত নিয়ে গর্ব করার মতো নেই। হারের পাল্লা ঝুলে আছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের দিকে। এক কথায় এই ম্যাচে ভারতই ফেবারিট। তবে ইংলিশ লিগের শেফিল্ড ইউনাইটেডের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভূক্তি বাংলাদেশ দলকে বদলে দিয়েছে। যে কারণে, এই প্রথম বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের তুমুল আকর্ষণ। কারণ একটাই, হামজা চৌধুরী।

দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মনও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে অন্যরকমভাবে দেখছেন।

রোববার শিলংয়ের জওহরলাল স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে অনুশীলনের পর এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে অনেক ম্যাচই খেলেছি। তার মধ্যে এইবারের ম্যাচটি অন্যরকম। আপনারই দেখছেন, এই ম্যাচ নিয়ে কী হাইপ উঠেছে। দেশের মানুষ খুবই ইতিবাচক। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো গোল না খাওয়ার চেষ্টা করা। আমার সাথে যে তিনজন রক্ষণে থাকবে তাদের নিয়ে একসাথে যেন ভালো একটা লড়াই করতে পারি।’ ভারতকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করে তপু বর্মন বলেছেন, ‘ভারত সবসময়ই ভালো দল। দলের সব খেলোয়াড় আইএসএল খেলে এসেছে। ভারত দলে ইনজুরিতে কয়েকজন ছিটকে গেছেন। তাদের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে যারা এসেছেন তারাও ভালো। এক কথায় বলবো তারা ভালো দল। তারা যেভাবে প্রতিযোগিতা করে আসছে সেটাকে আমাদের মানতেই হবে।’

সুনিল ছেত্রি প্রসঙ্গে তপু বলেছেন, ‘দেখেন সুনিল অবসরে যাওয়ার পর কোনো ম্যাচ জেতেনি। তিনি ফিরে আসার পর ম্যাচ জিতেছেন। বুঝতেই পারছি সুনিল দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রতি আমাদের আলাদা নজর রাখতেই হবে।’

অনুশীলনে হামাজা ও তপুকে খুব কাছাকাছি থাকতে দেখা যাচ্ছে। তার রহস্য কী। দুইজনের মধ্যে কি ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল তপু বর্মনের কাছেইজবাবে এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বলেন, ‘হামজা আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সাথেই খুব ভালোভাবে মিশে গেছেন। সবার সাথেই খুব ভালো সম্পর্ক তার। বিশেষ করে তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের কীভাবে উন্নতি করতে হবে তা নিয়ে আমি নিজেও তার সাথে কথা বলি। সেও কথা বলে। ফুটবলের পাশপাশি তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কথা হয়। সবকিছু মিলিয়ে তার সঙ্গে আমাদের ভালো একটা বন্ধন তৈরি হয়েছে। এটা জরুরি ছিল। এই বন্ধন ধরে রাখতে পারলে ভালো একটা রেজাল্ট করতে পারবো। আমাদের দায়িত্ব হলো হামজাকে বোঝানো যে, তার সঙ্গে আমরা কতটা ভালোভাবে কাজ করতে চাই।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়