ঢাকা, ২০২৪-১১-২১ | ৬ অগ্রাহায়ণ,  ১৪৩১

এশিয়া কাপ ও এশিয়াড ক্রিকেটের প্রস্তুতি

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০০:৫০, ১৯ আগস্ট ২০২৩  

এশিয়f ক্রিকেটের প্রস্তুতি

২০১০ সালে প্রথমবার এশিয়ান গেমস আসরে ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়। সেবার মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে ফাইনালে উঠে চমক দেখানো আফগানিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এই আসরে প্রথম কোনো স্বর্ণপদক জেতার রেকর্ড বাংলাদেশের। তবে ২০১৪ সালে এর পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। ২০১৮ সালে আর ক্রিকেট ইভেন্ট ছিল না। এবার ফিরছে আবার ক্রিকেট ইভেন্ট। সেই ইভেন্টের জন্য আগেভাগেই দল নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। 
এবারও ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট ইভেন্টে অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই খেলবে বাংলাদেশ দল। এশিয়ার মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৪টি দল- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে খেলবে। ছেলেদের ক্রিকেট ইভেন্ট ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৭ অক্টোবর শেষ হবে। আর মেয়েদের ক্রিকেট হবে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ইতোমধ্যেই এশিয়াডের জন্য দল তৈরি করেছেন নির্বাচকরা। সেজন্য অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম অনুসারে ২৮ ক্রিকেটার ডোপ টেস্টও দিয়েছেন এবং পাস করেছেন। মেয়েরাও এখন প্রস্তুত হচ্ছে এশিয়াড ক্রিকেটের জন্য। 
এশিয়ান গেমস ক্রিকেট টি২০ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১০ সালে প্রথমবার হওয়া ইভেন্টে একই সঙ্গে পুরুষ ও নারী ক্রিকেট ইভেন্টের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আশরাফুলের নেতৃত্বে সেই ম্যাচে নাঈম ইসলাম, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, নাসির হোসেন, শাহাদাত হোসেন রাজিব, নাজমুল ইসলামরা অবিস্মরণীয় বিজয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশের পুরুষ দল। তখন এশিয়ান গেমসের ৩২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার স্বর্ণপদকের দেখা পায় বাংলাদেশ এই ক্রিকেটারদের হাত ধরেই। কিন্তু নারীরা পারেনি, ফাইনালে পাকিস্তানের মেয়েদের কাছে হেরে তারা রৌপ্য পদক জয় করে। এবার এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ রয়েছে। তাই শক্তিশালী দল গড়া কঠিন কাজ হয়েছে নির্বাচকদের জন্য। সেজন্যই মূলত গত ৩১ জুলাই ৩২ ক্রিকেটারকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়।

সেই ক্যাম্প থেকে যারা এশিয়া কাপ ক্রিকেট খেলতে যাবেন, তাদের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের অধিকাংশই এশিয়াড খেলবেন। যদিও এশিয়া কাপের দলে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে তরুণ ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব আছেন। কিন্তু তাকে এশিয়ান গেমসে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ দল। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক ক্রিকেটারই আছেন। সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বি, জাকির হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদুল হাসান জয়ের অনেকগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।

এ ছাড়া একটি করে টি২০ খেলেছেন পারভেজ হোসেন ইমন জিম্বাবুয়ে, তানভীর ইসলাম ইংল্যান্ড, রিশাদ হোসেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং আইরিশদের বিপক্ষে ১ ওয়ানডে খেলেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। তাদের বাইরে জাতীয় দলের আশপাশেই বিচরণ করা শাহাদাত হোসেন দিপু, রিপন ম-ল ও রাকিবুল হাসানরা আছেন। 
সবমিলিয়ে আসন্ন এশিয়ান গেমসের জন্য বাংলাদেশ দল একেবারে খারাপ হবে না। এবার ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তি করার অপেক্ষা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়